এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা এক লাখ ৮২২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আগামী ২২ জুন থেকে আবেদন করা যাবে।
নিবন্ধিত ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে ১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একযোগে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের এই গণবিজ্ঞপ্তি চূড়ান্ত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সোমবার রাতে এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার উপপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রহিম খোন্দকার জানান, গণবিজ্ঞপ্তিটি চূড়ান্ত করে মঙ্গলবার তিনটি জাতীয় দৈনিকে পাঠানো হয়েছে।
এই এক লাখ ৮২২টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১ হাজার ১১০টি পদ।
আবেদন করতে হবে http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০০০ টাকা।
একজন নিবন্ধিত প্রার্থী এক আবেদনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। পছন্দ করা ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ চান কি না সে বিষয়েও মতামত দিতে পারবেন।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নারী কোটা থাকবে না। আগে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বলে ২০ শতাংশ নারী কোটা থাকলেও গত ১৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিধান বাতিল করে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিকে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা।
দেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮২৬। এর মধ্যে স্কুল রয়েছে ১৭ হাজার ৬৩৪টি, কলেজ ২ হাজার ৮৬৮টি, মাদ্রাসা ৮ হাজার ২২৯টি এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২২২টি।
এসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএর।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২৫ সালের ৪ জুনের মধ্যে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। নিবন্ধন সনদের মেয়াদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে হতে হবে।
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে। প্রথম দশ বছর নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির হাতে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার ক্ষমতা দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদের জন্য আবেদন আহ্বান করা হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ পান ১৯ হাজার ৫৮৬ জন।