দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে।
এর আগে শনিবার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এ বছর একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুই জন নারী। তাদের একজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে; একজন ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এবং একজনের ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে।
তাদের একজন ঢাকা বিভাগে, বাকি দুজন চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে, দুজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮২টি নমুনা পরীক্ষায় নয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে এক জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ জন এবং রাজশাহীতে ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে তিন জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর সোমবার পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৮ জনের।
কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।