বাংলাদেশে গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। এর মধ্যে চলতি জুন মাসেই মারা গেছেন ১৩ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ জন রোগী। এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন ধরে দৈনিক তিনশ’র বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
এর আগে শনিবার ৩৫২ জন, রোববার ৩২৯ জন, সোমবার ৩৯২ জন এবং মঙ্গলবার ৩৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৭০ জনে। তবে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি কিংবা পরীক্ষা করাননি, তারা এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত নন।
গত একদিনে মারা যাওয়া দুজনের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং অন্যজন রাজশাহী বিভাগের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন বরিশাল বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৩ জন, ঢাকার বাকি এলাকায় ৪১ জন, চট্টগ্রামে ৪৩ জন, খুলনায় ১৬ জন, রাজশাহীতে ২৯ জন, ময়মনসিংহে পাঁচজন এবং সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১,০৮৫ জন, যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ৩১৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৬৭ জন।
২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ, আর মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল।