মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
শুক্রবার মধ্যরাতে যশোর থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার পথে রওনা হয় একটি বাস। রাত ৩টা ১০ মিনিটে এক্সপ্রেসওয়ের শিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাঁসাড়া ব্রিজ-২ এর মাঝামাঝি লন্ডন স্কুলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং একজন বাসের সহকারী। আহত ২০ জনকে যাত্রাবাড়ীর আল কারিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন—দলের যশোর জেলা কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক মাওলানা মোস্তফা কামাল, সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জালাল উদ্দিন (৬৫), একই ইউনিয়নের সদস্য জিল্লুর রহমান (৫৫), ঘুরুলিয়া গ্রামের রওশন আলী (৫৫), এবং বাসের সহকারী হাসিব (৩২), যিনি মধুগ্রামের বাসিন্দা।
ইসলামী আন্দোলনের যশোর জেলা সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জানান, ৫৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত ১২টায় যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলেই জালাল উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান মারা যান। বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী হামদান এক্সপ্রেসের বাসটি চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে আঘাত হানে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচজন এবং টাঙ্গাইলে আরও একজন মারা গেছেন। আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।