সচিবালয়ে কর্মচারীদের দ্বন্দ্বের পর আন্দোলনে ভাটা

সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ অনেকটাই কমে গেছে।

রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে মিছিলের কথা থাকলেও সাড়ে ১১টায় মাত্র বিশজনের মতো অংশগ্রহণে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদামতলায় আয়োজিত সমাবেশে সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আন্দোলনে থাকা সরকারের প্রেতাত্মারা এখন মালের ঘোরে ঘরে বসে গেছে। পকেট ভার হলে আর মুখ খোলে না।”

মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে হামলা করা হয়। আমাদের সভাপতি নুরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। প্রশাসনের কাছে জানতে চাই, সচিবালয়ে রড-লাঠি এল কোথা থেকে? কেন সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল?”

মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা সোমবারের কর্মসূচি স্থগিত করেন। তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এখন দুই ভাগে বিভক্ত—এক অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন মো. বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

সমবায় সমিতির আগের কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির হাতে তুলে দিলে পরে হাইকোর্টে রিট দায়ের হয়। আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশকে কেন্দ্র করেই গত মঙ্গলবার সংঘর্ষে জড়ান পরিষদের দুই পক্ষ।