নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান, শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত শাকিলের বয়স ছিল ২৮ বছর। তিনি ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর গ্রামের বাসিন্দা এবং যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে গঙ্গাবর বাজারের ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এক কিশোরকে অপহরণ করতে গেলে শাকিল ও কয়েকজন বাধা দেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় শাকিলের ছোট ভাই ও ছাত্রদলকর্মী মোজাম্মেল হোসেন শুভ আহত হন।
স্থানীয়রা তিন যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তারা হলেন—ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন (২২)। এদের মধ্যে দুজনকে চিকিৎসা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গঙ্গাবর বাজার এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে একটি পিস্তল ও খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার দিন রাতেই ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে নিজ বাড়িতে শাকিলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভ জানান, শাকিল একজন টাইলস মিস্ত্রী ছিলেন। তার আট মাসের একটি মেয়ে রয়েছে এবং সামনের সপ্তাহে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান শাকিল হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।