জুলাই আন্দোলনে ভ্যানচালক হত্যার চেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম। দুপুরে রিমান্ড শুনানি হতে পারে।

প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন জানান, সিদ্দিককে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে এবং শুনানির সময় তাকে আদালতে তোলা হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে সিদ্দিককে আটক করে একদল যুবক। পরে তাকে মারধর করে রমনা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রমনা থানা পুলিশ তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার। ওই ঘটনায় তিনি গুলশান থানায় মামলা করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনকে আসামি করা হয়।

গুলশান থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এ কারণে তাকে থানায় আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে কাকরাইল এলাকায় সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে একদল যুবক। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাত দিয়ে চলতে থাকা সিদ্দিককে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মারধর করছে কয়েকজন যুবক। এরপর জামা ছেঁড়া অবস্থায় তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে থাকলেও শুরুতে তারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পরে কিছু পুলিশ সদস্য এগিয়ে আসেন। তখন সিদ্দিক কাঁদছিলেন।

সিদ্দিককে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে পরে পুলিশ নিশ্চিত করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুরে তার বাসা ঘেরাও করে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তখন সিদ্দিক বাসায় অবস্থান করছিলেন। পরে স্বজনদের সহায়তায় একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যান তিনি। তার এক স্বজনকে মারধরও করা হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হন চিত্রনায়ক ফারুক। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সিদ্দিক। পরে মোহাম্মদ আলী আরাফাত নির্বাচিত হন। তখন ফেইসবুক লাইভে এসে সিদ্দিক বলেছিলেন, মন ভালো করতে তিনি দুবাই যাচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৭ এবং টাঙ্গাইল-১ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম তুললেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *