ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে সমালোচনা

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। গত ২৬ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনের ভিপি ও জিএস প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, গণনার সময় সেনাসদস্যরা ভোটকেন্দ্রেও থাকবেন।

এছাড়া, ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে তিন দিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ কে এম রাশিদুল আলম ২১ অগাস্ট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। একইভাবে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্যও চার প্লাটুন সেনাবাহিনী চাওয়ার কথা বলেছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।

এমন সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি নিয়ে নানামুখী সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে মন্তব্য করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা মোতায়েন স্বয়ত্তশাসন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এই প্রসঙ্গে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্বে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সমূহ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।