ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত নয়: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদ নির্বাচনে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে প্রধান দুটি বিষয় ছিল—ভোটকেন্দ্র হল থেকে বের করা এবং আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ভোট দিতে সহায়তা নিশ্চিত করা।

তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম, দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী, এবং তৃতীয় স্তরে সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান করবে। প্রয়োজনে ভোট গণনার সময় কর্ডন রাখা হবে। অধ্যাপক জসীম জানান, এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রয়োজন নেই; প্রয়োজনবোধে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিকোয়ারমেন্ট জানানো হবে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতে এর সুযোগও নেই। রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ভোটের দিন এবং গণনার সময় প্রার্থীদের ও ভোটারদের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা নেওয়া হবে।

আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযোগ নিষ্পত্তি করছে। টিএসসিতে একটি প্রার্থীর ইশতেহার প্রকাশে গানবাজনার অভিযোগে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যানার ও পিভিসি বোর্ড সরানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

ভোটগ্রহণ ও গণনার জন্য আটটি কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট বুথ স্থাপন করা হবে। ভোটারদের সুবিধার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে আট মিনিট সময় ধরে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট গণনা স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এবং ফল সিনেট ভবন থেকে প্রকাশ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভোট ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় কোনো অনিয়ম হবে না এবং সকল ভোটার সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন।