নাটোরে শিক্ষা সফরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ডাকাতির শিকার হয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
চারটি বাসে শিক্ষার্থীরা রওয়ানা হলেও ডাকাতি হয়েছে তিনটিতে। তবে প্রধান শিক্ষকের বুদ্ধিমত্তায় একটি বাসে ডাকাতরা উঠতে পারেনি।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি সড়কের লক্ষ্মণের বাধা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, রাতের নির্জন সড়কে হঠাৎ গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখে তারা সতর্ক হয়ে যান। দ্রুত বাসের জানালা ও দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের বাসে ডাকাতরা প্রবেশ করতে পারেনি।
তবে অন্য বাসগুলিকে সতর্ক করার আগেই ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ ও ১০টি স্মার্টফোন লুট করে নেয়।
ডাকাতদের আঘাতে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন ও অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার আহত হন। কৃষি বিষয়ের শিক্ষক আবুল কালাম আতঙ্কে জ্ঞান হারান।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়ে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া আক্তার বলেন, “ভয়ে আমি অনেক কেঁদেছি। এখনও আমার ভয় কাটেনি।”
ডাকাতির পর শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক কমাতে তাদের নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফেরার পথে থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মণের বাধা এলাকায় প্রায়ই এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতেও একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছিল।
ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।