সরকারি সহায়তায় দেশে ফিরতে পারবেন তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “ফিরে আসার বিষয়টি তারেক রহমানের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে যখনই প্রয়োজন হবে, তার ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো আমরা দেখব।”

বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন বলে বাসস জানিয়েছে।

এক প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে তারেক রহমান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কি না—সে বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। সেখান থেকেই তিনি দল পরিচালনা করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও তা সুনির্দিষ্ট হয়নি। তারেক রহমান বা দলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বক্তব্যও আসেনি।

সরকার পরিবর্তনের পর ১৭ বছর পর স্ত্রী জুবাইদা রহমান গত মে মাসে দেশে আসেন। তিনি এক মাস অবস্থান শেষে জুনে লন্ডনে ফিরে যান।

২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে তারেক রহমান স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তারা আর দেশে ফেরেননি।

শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় চার মাস ছিলেন। তিনি ৬ মে দেশে ফেরেন।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে প্রথমে নিজস্বভাবে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরেক প্রশ্নে তিনি জানান, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ঢাকা যে অনুরোধ জানিয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। এ বিষয়ে দ্বিতীয় কোনো অনুরোধপত্রও পাঠানো হয়নি।

নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রাক-নির্বাচনি অনুসন্ধানী মিশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে। তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধান করছে।”