ডাকসু নির্বাচনে অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন ভিন্নমতধারী প্রার্থীরা: আব্দুল কাদের

ডাকসু নির্বাচনে ভিন্নমত ধারণ করায় প্রার্থীরা অনলাইনে বুলিং, ব্যক্তি-আক্রমণ ও গালিগালাজের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “৫ অগাস্টের আগে ভিন্নমত ধারণ করার কারণে অফলাইনে মারধর করা হতো। সরাসরি আক্রমণ করা হতো। গায়ে হাত তোলা হতো। কিন্তু এখন অনলাইনে বুলিং হচ্ছে। গায়ে হাত তোলার চেয়ে অনলাইনে নোংরা ভাষার ব্যবহার গালিগালাজ আরও বিপর্যস্ত করে দেয়।
“কেবল আমার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে না। ভিন্নমত ধারণ করেন- এমন সবার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। একটা সময় গিয়ে মনে হয়েছে, একটু বোধহয় ভেঙে পড়েছি।”

শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাস্টারদা সূর্যসেন হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডাকসু নির্বাচনে এনসিপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) প্যানেলের নাম ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’। এ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন বাগছাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। আর জিএস পদে লড়ছেন বাগছাসের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।

আব্দুল কাদের বলেন, “অবশেষে আমাদের লড়াই-সংগ্রামের একটি গতি হতে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময় আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত করা যায়, সে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনে ডাকসু হতে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের স্বপ্ন মনে হয় সত্যি হচ্ছে। আমাদের নারীরা নির্ভয়ে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করতে পারবে।
“আমরা প্রত্যাশা করি, সাম্যর মত আর কাউকে যেন ক্যাম্পাসে জীবন দিতে না হয়। ক্যাম্পাস ভবঘুরেদের আড্ডাখানা হবে না।”

শিক্ষার্থীদের ভোটদানে আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “ডাকসুর প্রতি আপনাদের মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। গণ-অভ্যুত্থানের পর যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার কথা, তা দীর্ঘ একবছর পর বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আপনার প্রতিনিধি নির্বাচন করুন।”