লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ

নিউ ইয়র্কের পর এবার লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গাড়িতে ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজে (সোয়াস) এ ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন জানান, এদিন লন্ডনে দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এর মধ্যে বিকেলে তিনি সোয়াসে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সোয়াস ও হাই কমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান চলাকালে বাইরে আওয়ামী লীগের ১৮ জন কর্মী স্লোগান দিতে থাকেন।

ঘটনার বর্ণনায় প্রেস মিনিস্টার ফেসবুকে লিখেছেন, উপদেষ্টা ও হাই কমিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের পর পার্কিং এলাকায় থাকা গাড়ির ওপর ডিম নিক্ষেপ করে ‘দুষ্কৃতকারীরা’। অনুষ্ঠান শেষে তারা একাধিক গাড়িতে করে সোয়াস ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এরপর হাই কমিশনের দুটি খালি গাড়ি বের হওয়ার সময় কয়েকজন ‘দুষ্কৃতকারী’ রাস্তায় শুয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং আরও কয়েকজন খালি গাড়ি দুটিতে ডিম নিক্ষেপ করে। এসময় রাস্তায় শুয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের পুলিশ সরিয়ে দেয়।

আকবর হোসেন আরও জানান, সোয়াসের অনুষ্ঠানস্থলে আসতে উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়ির কোনো সমস্যা হয়নি। সোয়াসের অনুরোধে আগে থেকেই পুলিশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মাহফুজ আলম যোগ দেন। প্রেস মিনিস্টারের বর্ণনা অনুযায়ী, এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ছাত্র ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। তিনি আরও লিখেছেন, “লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বক্ষণিক বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।”

এর আগে গত ২৪ আগস্ট নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে প্রবেশের সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে ডিম ও পানির বোতল ছুড়েছিল নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের প্রবাসী কর্মীরা। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছিল। পরে জড়ো হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয় নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এ ঘটনায় দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় পুলিশ, মেয়র এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থানীয় অফিসে চিঠি দিয়েছিল কনস্যুলেট জেনারেল।