ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা চলা এই সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, নিহত কুদ্দুস মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং গুরুতর আহত কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মকরমপুর্টি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দবির মাতব্বর ও বজলু মুন্সির মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দবিরের অনুসারী সোলেমান মাতুব্বর ও বজলুর সমর্থক শাহ আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা, রামদা ও ইট নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
তীব্র সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তাহসিন জুবায়ের জানান, নিহত কুদ্দুস মোল্লা ছাড়াও আহত ছয় থেকে সাতজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহত অবস্থায় কুদ্দুস মোল্লা মারা যান।” পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।