অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় গবাদি পশুকে ৩০ লাখ টিকা দেওয়া হবে। প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা এসব টিকার মধ্যে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা পাবে ২০ লাখ টিকা।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, রংপুর জেলার নয়টি উপজেলায় ইতিমধ্যে ১ লাখ ৬৭ হাজার গরুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে উঠান বৈঠক, পথসভা, প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে। জেলার ৩৬টি কসাইখানায় গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৩৬টি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪০০ গরুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গরু পুঁতে ফেলা, টিকাদান, মাইকিং, উঠান বৈঠক এবং লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ৫টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর এর মাংস কাটাকাটি করেন। শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক জানান, এদের মধ্যে ১১ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে রংপুরের পীরগাছা, মিঠাপুকুর এবং কাউনিয়া উপজেলায় ৯ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা আক্রান্ত গবাদি পশুর সংস্পর্শে এলে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।