দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রতিক গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রাথমিক ধারণা, গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার ৪০০ কেভি গ্রিড লাইনের কোনো স্থানে দুটি তার একত্রিত হয়ে শর্ট সার্কিটের সৃষ্টি হয়, ফলে এ বিপর্যয় ঘটে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— বুয়েটের অধ্যাপক মো. এহসান, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ শাহ, পিডিবির সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম, ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ, পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল কবির এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটিকে গ্রিড বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করা, দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায় নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে সুপারিশ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, বরিশাল বিভাগ পুরোপুরি এবং খুলনা বিভাগের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল। তবে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও ভেড়ামারা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল।
পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার লাইনে তারের সংযোগ ঘটায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সঙ্গে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ওভারলোড হয়ে ট্রিপ করে। তিনি আরও জানান, আধাঘণ্টার মধ্যে লাইন মেরামত করা সম্ভব হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লেগেছে।