ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে আরও তিন দিন পানি বৃদ্ধির আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এ প্রভাবে ছয়টি জেলায় বন্যার ঝুঁকির কথা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেলার মুহুরী নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে এবং পরবর্তী তিনদিন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ঝুঁকি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে। এর মধ্যে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং মাতামুহুরী নদীর পানি প্রবাহিত হতে পারে সতর্কসীমার কাছাকাছি। ২৪ ঘণ্টা পর এসব নদীর পানি স্থিতিশীল থেকে তৃতীয় দিনে গিয়ে কমতে শুরু করতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি তিনদিন পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই সময়ে এসব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। এর মধ্যে তিস্তার পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার দেখা দিতে পারে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বর্তমানে স্থিতিশীল এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির এই স্থিতিশীলতা একদিন অব্যাহত থাকার পর আগামী চার দিন বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও পদ্মার পানি বাড়ছে। আগামী পাঁচ দিন উভয় নদীর পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মঙ্গলবার তৈরি হওয়া লঘুচাপটি পরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং এরপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং শুক্রবারও ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।