বিনিয়োগের নামে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ১০ লাখ পাউন্ড ক্ষতিতে যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি কমিশন মসজিদ ট্রাস্টকে সতর্ক করেছে।
দাতব্য সংস্থাটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেখতে পেয়েছে, ট্রাস্টিরা দাতব্য কার্যক্রমের যথাযথ তদারকি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে মসজিদ ট্রাস্টকে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত হতে পারে।
ইস্ট লন্ডন মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে, যা মূলত ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়। ইউরোপের বৃহত্তম এ মসজিদের পরিচালনায় রয়েছে ইস্ট লন্ডন মসজিদ ট্রাস্ট, যার নির্বাচিত ১২ জন ট্রাস্টির বেশিরভাগই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
রমাদান আপিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই মসজিদ প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করে।
২০২২ সালে ট্রাস্ট একটি মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে ১০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছিল, যেটি জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃক অনুমোদিত ছিল এবং ছয় মাসে ২০ শতাংশ মুনাফার প্রত্যাশা ছিল।
তবে প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় মসজিদ ট্রাস্ট বিনিয়োগকৃত অর্থ হারায়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাস্টিরা বিষয়টি চ্যারিটি কমিশনকে জানায়।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রাস্টিরা বিনিয়োগ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না। বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ নথি যথাযথভাবে খতিয়ে না দেখা এবং তদারকির অভাবের জন্য তাদের সমালোচনা করা হয়েছে।
চ্যারিটি কমিশন আশা করছে, ভবিষ্যতে বড় অংকের বিনিয়োগের আগে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো আরও সতর্ক হবে এবং বিস্তারিত তথ্য যাচাই করবে।
কমিশনের কমপ্লায়েন্স, পরিদর্শন ও তদন্ত বিভাগের প্রধান জোশুয়া ফারব্রিজ বলেন, “মানুষ যখন কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়, তারা আশা করে যে তহবিলটি সতর্কতার সঙ্গে এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ব্যয় করা হবে। কিন্তু এই ঘটনায় দেখা গেছে, ট্রাস্টিরা যথাযথভাবে বিনিয়োগ পর্যবেক্ষণ করেননি এবং প্রয়োজনীয় তথ্যও রাখেননি।”
তিনি আরও বলেন, তহবিল ব্যবস্থাপনায় ইস্ট লন্ডন মসজিদ ট্রাস্টকে একাধিকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাই এবার একটি আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।