ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা ইরানের আরাক ও নাটাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইরানের ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বীরশেবায় অবস্থিত সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে আঘাত হানে। এতে হাসপাতালটির একটি অংশ ধ্বংস হয় এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
ইসরায়েলের দাবি, আরাকের ভারী জলচুল্লি ও নাটাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এ হামলার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, হামলার আগেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা খালি করে ফেলা হয়েছিল।
জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে পাল্টা হামলা চালায়। তেলআভিভ, রামাত গান, হোলন ও আশদোদের মতো এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইরান জানিয়েছে, মূলত সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই তারা হামলা চালিয়েছে, যদিও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র বেসামরিক এলাকায়ও পড়েছে।
চীন জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে ইরান থেকে ১,৬০০ এবং ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকশো চীনা নাগরিক সরিয়ে নিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তেজনা কমাতে তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এদিকে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে যুদ্ধে নামে, তবে ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হবে। ইরান বলেছে, তারা সম্ভাব্য সব ধরনের সামরিক বিকল্প বিবেচনায় রেখেছে।
পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় দেশগুলো নাগরিক সরিয়ে নেওয়া ও কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে।
সূত্র:আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, গ্লোবাল টাইমস, টাইমস অব ইসরায়েল, প্রেস টিভি (ইরান)