ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে কার্যত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরাসি ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুতেই পিএসজির দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম ১০ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে ৮৭ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই আক্রমণে ঝড় তোলে লুইস এনরিকের দল। ম্যাচের ৬ মিনিটেই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা মিলছিল না। তবে ৩৯ মিনিটে নেভেস দ্বিতীয়বারের মতো বল জালে জড়ান।
৪৪ মিনিটে তমাস আভিলেসের আত্মঘাতী গোল এবং প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার মায়ামি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও গোলের দেখা পায়নি। সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ, যেখানে মেসির পাসে গোলরক্ষকের সামনেই বল পেয়ে যান তিনি। কিন্তু বল ঠিকভাবে পায়ে লাগাতে না পারায় ব্যবধান কমানো হয়নি।
প্রথমার্ধে মেসির পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতোই নিষ্প্রভ। ম্যাচজুড়ে খুব একটা দৃশ্যমান ছিলেন না তিনি। সাবেক ক্লাব পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে যেমন আলোচনার ঝড় উঠেছিল, তেমনই হতাশ করেছেন মেসিরা মাঠে।
এই হারে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ইন্টার মায়ামি। আর ইউরোপের মঞ্চ জয় করে এবার বিশ্ব শিরোপার দিকে এগিয়ে চলেছে পিএসজি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফরাসি জায়ান্টদের মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো অথবা জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ। আজ রাতেই সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে।
মেসির ক্যারিয়ারে এমন বড় ব্যবধানে হার কম হয়নি, কিন্তু নিজের সাবেক ক্লাবের কাছে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ অনেকের কাছেই নতুন করে মনে করিয়ে দিল বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলে হার কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বার্সার সেই ৮-২ গোলদুর্ঘটনার স্মৃতি।