কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া চার জন হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
মামলায় বলা হয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে ভুক্তভোগী নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাবা-মা বাইরে গেলে স্থানীয় ফজর আলী বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে কিছু ব্যক্তি ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে আটক ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, “ধর্ষণের শিকার নারীর আপত্তিকর ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ভুক্তভোগী নারী জানান, টাকা ধার নেওয়ার সূত্রে তাদের পরিবারের সঙ্গে ফজর আলীর পরিচয় হয়। সেই সূত্রেই তিনি বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
রোববার পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফজর আলীকে স্থানীয়রা আটক করে পিটুনি দেয়। পরে তিনি পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়।