দেশে ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৯ জনে।
এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১৯ জন মারা গেছেন জুন মাসে। আর জুলাই মাসের এগারো দিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন এবং মে মাসে তিনজন মারা গেছেন। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
চলতি জুলাই মাসে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৩ জন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন এবং জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬০ জন বরিশাল বিভাগের। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫ জন, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে তিনজন এবং রাজশাহী বিভাগের তিনজন। সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগে এ সময়ে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ২৭১ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৬১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি ৯১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৪৪ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখছে ২০০০ সাল থেকে।
২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। ওই বছরের ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জনের।
২০২২ সালে সারাদেশে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।