থাই প্রধানমন্ত্রীর পদচ্যুতি: সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে তার পদ থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের কারণে তাকে এই সাজা দেওয়া হচ্ছে।

কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে এক ফোনালাপকে কেন্দ্র করে এ রায় দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা হতে পারে। ৩৯ বছর বয়সী পায়েতংতার্ন থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক বছর পরই ক্ষমতাচ্যুত হলেন।

শুক্রবার আদালতের বিচারকরা ৬-৩ ভোটে পায়েতংতার্নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা বলেন, জুনে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পায়েতংতার্নের নৈতিকতা ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সীমান্তে সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি নতজানু ছিলেন। পরে দুই দেশ কয়েক সপ্তাহ পর সত্যি সত্যিই সংঘাতে লিপ্ত হয়, যা ৫ দিন ধরে চলে।

জুলাইয়ে তিনি অস্থায়ীভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থায়ী পদচ্যুতির পর থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে নামতে হবে। পায়েতংতার্নের দল ফেউ থাই পার্টির জন্য মিত্রদের সমর্থন জোগাড় করা কঠিন হবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত উপপ্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা সরকার পরিচালনা করবেন।

এখন ৫ জনকে পায়েতংতার্নের উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ফেউ থাইয়ের ৭৭ বছর বয়সী চাইকাসেম নিতিসিরি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার এবং আনুতিন চার্নভিরাকুল। চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্টিথর্ন থানানিথিচট বলেছেন, “নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া কঠিন হবে, এবং বেশ সময় লেগে যেতে পারে। সব পক্ষের স্বার্থ এক করা সহজ নয়, ফেউ থাই-ই সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় থাকবে।”