বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশে একটি ষড়যন্ত্র চলছে, যার মাধ্যমে মধ্যপন্থা ও উদারপন্থি গণতন্ত্রকে সরিয়ে উগ্রবাদের রাজনীতি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রক্তাক্ত জুলাই’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন। বইটি প্রকাশ করেছেন ইতি প্রকাশন, লেখক সৈয়দা ফাতেমা সালাম।
ফখরুল বলেন, “আপনারা মনে রাখবেন, দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে যে—এই দেশে মধ্যপন্থা রাজনীতি, উদারপন্থি রাজনীতি, উদারপন্থি গণতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে একটা উগ্রবাদের রাজনীতিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। আমাদেরকে সেজন্য উদারপন্থি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে অবশ্যই মতভেদ থাকবে, বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থাকবে। কিন্তু এখন যে পরিবেশটা আমাদের আছে, সেই পরিবেশে জনগণ অত্যন্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মানুষকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলছে, ‘নির্বাচন হবে তো?’ এই ধরনের শঙ্কা, আশঙ্কা এবং হতাশা তৈরি হচ্ছে।”
ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, “নির্বাচন হবেই এবং যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেই সময়েই নির্বাচন হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আজকে যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় বা নির্বাচন না হয়, তাহলে এই জাতি প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।”
তিনি জানান, বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দিক থেকে এবং বিদেশ থেকেও ফ্যাসিবাদকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই তিনি নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। “নির্বাচন খুব দ্রুত দরকার। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কাঙিক্ষত লক্ষ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাব।”