ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
শহিদুল আলম টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের পতাকা হাতে শহিদুল আলমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে তাকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি এবং ইসরায়েল থেকে দেশে ফেরাতে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়িপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত বুধবার গাজাগামী নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলার জাহাজগুলো ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে। ওই বহরে ‘কনশানস’ নামের একটি জাহাজে ছিলেন শহিদুল আলম। এছাড়াও জাহাজগুলোতে থাকা অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের আটক করে ইসরায়েলের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এরপর শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তুরস্ক সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশি আলোকচিত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়।