নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় যুবলীগের এক কর্মীকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে যাওয়ার সময় দুই যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার হলবান পুলের পাশের খালে লাশ ফেলে পালানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে ধরে ফেলে। পরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত জাকির হোসেন (৪০) সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮ নম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
আটক দুই যুবক হলেন—নোয়াখালী সদর উপজেলার চর কাউনিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৫) এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মো. বাবু (৩৩)।
আহতদের বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগ, আট থেকে ১০ জন লোক জাকিরকে তুলে নেয়। তিনি মাটি ব্যবসা করতেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।
জাকিরের স্ত্রী অভিযোগ করেন, বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ তার স্বামীর ভেকু পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশ-সেনাবাহিনীকে অবহিত করার পরও তাকে তুলে নেওয়া হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, বাবু হাসপাতালে ভর্তি এবং আনোয়ারকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।