চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারার ঘটনায় বহিষ্কৃত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকাশ দাবি করেছেন, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশের তথ্যমতে, রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনুমানিক বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে।
তবে ফেসবুকে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আকাশ চৌধুরী লেখেন, ‘আমি আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সিদ্ধান্তক্রমে আজকেই চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
এ ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেপ্তারের পর কীভাবে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া সম্ভব হলো। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আইডি থেকে হয়তো কেউ পোস্ট করেছেন। গ্রেপ্তারের পর এমন সুযোগ থাকে না।’
ফেসবুকে আকাশ চৌধুরীর নামে থাকা আইডিতে ঢুকে দেখা যায়, ওই আইডি থেকে প্রথম পোস্ট করা হয় ১৯ মে। সেখানে নিজের একটি ছবি দিয়ে বলা হয়, আগের আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে, এটি তার একমাত্র আইডি। এরপর সেখানে নিজের ছবি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি পোস্ট করেন তিনি। গত বুধবার বিকেলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’-এর একটি কর্মসূচির পোস্ট করেন তিনি। ওই কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। কর্মসূচি শুরুর পরপরই ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামে একটি দল সেখানে মিছিল নিয়ে আসে এবং ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১২ জন আহত হন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই মুহূর্তে এক ব্যক্তি পেছন থেকে একজনকে এবং পরে আরেকজন নারীকে লাথি মারেন। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম আকাশ চৌধুরী।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কার করে।