ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার এ নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
নতুন নীতিমালায় মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ কমিটি রাখা হয়নি। পরিবর্তে নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের নীতিমালায় ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে জেলা কমিটি গঠনের বিধান ছিল, যার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রের স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। তবে এসব কমিটির নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সে ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নিজস্ব কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের বিধান রেখেছে।
২১ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদিত হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগের কমিটি বিলুপ্ত করে বিষয়টি কমিশনের আওতায় আনা হয়েছে। যেহেতু এবারের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহৃত হচ্ছে না, তাই ইভিএম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বরাবরের মতো গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ পুরুষ ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি ভোটকক্ষ নির্ধারণের বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে খসড়া আচরণবিধিও প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ভোটকক্ষ ছিল। এবার সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের জন্য আরও বেশি ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের প্রয়োজন হবে। ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর, ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে সব ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।