যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের শত শত একর বাদামের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে অপরিপক্ব বাদাম আগেভাগে তুলতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।
রোববার চর পেচাকোলা, রাকসা, নগরবাড়ি, মোল্লার চরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পানিতে নেমে বাদাম তুলছেন। এতে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে দাবি তাদের।
চাষিরা জানান, যমুনায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলে এ বছরও বাদাম চাষে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। রুপপুর, ঢালারচর, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়। ফসল ঘরে তোলার আগমুহূর্তে নদীতে হঠাৎ পানি বাড়ায় অন্তত ৫০০ হেক্টর জমির বাদাম ক্ষেত তলিয়ে যায়। এতে প্রায় এক হাজার মণ বাদাম নষ্ট হয়েছে বলে দাবি চাষিদের।
রাকসার চরের কৃষক আবদুল, শামীম, জুয়েল, রেজা ও ছানোয়ার হোসেন জানান, আগের বছরের ভালো ফলন দেখে তারা এবার বেশি জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পানিতে তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আগাম ফসল তোলার কারণে বাদামের পরিমাণ ও গুণমান দুইই কমে গেছে।
এই ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল হোসেন বলেন, “বহু চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রয়োজন।”
তবে বেড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত কবীর বলেন, চরাঞ্চলের বাদাম ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই। তিনি জানান, “নীচু জমিতে আগাম চাষ করা বাদাম ইতিমধ্যে তোলা হয়েছে। কিছু জমি থেকে অপরিপক্ব বাদাম তোলায় কিছু ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তারপরও খোঁজখবর নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, চলতি বছর বেড়া উপজেলায় এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
এর আগে সুতিখালি এলাকায় ধানক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে স্লুইস গেট বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।