আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে রাস্তায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিক্ষোভ শুরু করে।
উত্তপ্ত আবহাওয়ায় পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পানি ছিটানোর গাড়ি ও স্প্রে ক্যাননের ব্যবহার দেখা গেছে। পাশাপাশি, ঢাকা ওয়াসা সরবরাহ করছে খাবার পানি।
জুমার নামাজের পর এ কর্মসূচির ডাক দেয় এনসিপি। দুপুরে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশ। যমুনার পাশে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের কাছে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়, যেখানে ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতারা বক্তব্য রাখছেন। উপস্থিত আছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরাও।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই এনসিপির নেতাকর্মীরা যমুনার সামনে জড়ো হন। তাদের দাবি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকেও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রলীগকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বুধবার দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, শুক্রবার গভীর রাত থেকেই এনসিপি এবং অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটি নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।