আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না
সোমবার রাত ১২টার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ যেকোনো প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ ও সম্মেলন আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “উক্ত প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপন দ্বারা খর্বিত করা হয়নি।”
প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হামলা, গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের ফৌজদারি আদালতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এছাড়া গত ৫ আগস্টের পর দলটি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভয়ভীতি তৈরি হয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।