বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে কাকরাইল ও মৎস্য ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন তার সমর্থকেরা।
১৪ মে থেকে চলা এ কর্মসূচিতে মঙ্গলবার তারা জানান, বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে শপথ না করানো হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি আসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়নের কাছ থেকেও।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার সকাল দশটার পর নগর ভবনের সামনে থেকে ইশরাক সমর্থকরা সরে গিয়ে মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নেন। সমর্থকদের একজন রাসেল মাহমুদ বলেন, সরকার দাবি পূরণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তাই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে যেতে পারছেন না।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মেয়র হন। তবে গত ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখন পর্যন্ত তার শপথ অনুষ্ঠান হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার এক ফেইসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের আহ্বান জানান ইশরাক। তিনি বলেন, “যেহেতু এটা প্রতীয়মান যে আপনারা রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন, হয়তো আগামীতে সরাসরি যুক্ত হবেন, তাহলে আপনাদের পদত্যাগই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।”
তিনি সরকারি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদাহরণ টেনে বলেন, “উনি চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন মন্ত্রিত্ব করে এনসিপিতে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন।”
ইশরাক আরও বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাকে শপথ না পড়িয়ে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তাই পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি অনড় থাকবেন।